Friday, April 28, 2017

ডিজিটাল অাল-কুরআন লার্নিং: কোরআনী কলম


Product code:9904
Price: 3900 ৳
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কুরআন শিক্ষা ফরজ। আমাদের অনেকেই কুরআন পড়তে পারি না, আগে পারলেও এখন তা সহি-শুদ্ধ হচ্ছে না। বয়স এবং সময়ের বেড়াজালে কারো সাহায্য নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য টেক বাজার নিয়ে এলো,ডিজিটাল পবিত্র আল-কুরআন।
প্রোডাক্ট এর বৈশিষ্ট্য :
==============
১.সঠিক ভাবে কুরআন তেলাওয়াত, অনুবাদ, উচ্চারণ, আয়াত-সূরার ব্যাক্ষা সহ সর্বোপরি কুরআন শিক্ষার জন্য এই কলমটি সাহায্য করবে।
২.এটি ৮ জিবি মেমোরি সমৃদ্ধ, উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটি এবং হেডফোন অপশন, রির্চাজেবল ব্যাটারি সুবিধা।
৩.এতে রয়েছে ১ বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধা।
৪.এতে আছে বিশ্বের ১৮ জন কারীর নাম! এর মাঝে ৭ জন প্রসিদ্ধ কারীর মাঝে যার কন্ঠে চাইবেন, তার নাম সিলেক্ট করলেই তার সুরে তিলাওয়াত শুনতে পারবেন।
৫.এতে রয়েছে ২১টি ভাষায় অনুবাদ শেখার সুযোগ। পছন্দমত ভাষা নির্ধারণ করে শুনতে পারেন অনুবাদ।
পণ্য টি হাতে পেতে বা বিস্তারিত জানতে এখনি আমাদের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এ কল করুন।
ফোন-01736 720301 / 09666-911531 অথবা ফেইসবুক ম্যাসেজ এর মাধ্যমে অর্ডার করতে চাইলে আপনার নাম + প্রোডাক্ট কোড + এড্রেস + ফোন নম্বর লিখে ম্যাসেজ করুন ▶http://www.facebook.com/Techbazarbd বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ▶http://www.techbazarbd.com

    বিঃদ্রঃ এই পোষ্টে একটি ভিডিও আছে। যদি ভিডিও দেখা না যায় তাহলে আপনার কম্পিউটারে Adobe flash player ইনস্টল সেটাপ করুন । গুগুলে যেয়ে Adobe flash player লিখে সার্চ করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।


Wednesday, April 26, 2017

ব ই প রি চি তি ­ তাজ্ওয়ীদসহ শব্দার্থে আল্ কুরআনুল কারীম


দুনিয়াতে এ যাবৎ আল্ কুরআনুল কারীম এর অসংখ্য অগণিত অনুবাদ ও তাফসীর বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে। এগুলোর প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর লিখিত। এরই ধারাবাহিকতায় বিশিষ্ট আলেম ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান আযাদ অনবদ্য এক কাজ হাতে নিয়েছেন। যা বাংলা ভাষায় এ পর্যন্ত কেউ করেননি। তিনি আল্ কুরআনুল কারীম এর তিলাওয়াতের তাজ্ওয়ীদ ও শব্দার্থসহ অনুবাদের কঠিন কাজটি হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রথম খ-ে প্রথম তিন পারা সন্নিবেশিত হয়েছে। ব্যতিক্রমী যে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ রয়েছে তা হলোÑ ১. মাদ্দ, গুন্নাহ, পুর-বারীক, কলকলাসহ তাজওয়ীদের জরুরী নিয়মাবলী রং ও নম্বরের সাহায্যে বুঝানো হয়েছে। ২. যে সকল একাধিক শব্দ একসাথে কিংবা যুক্তভাবে লিখিত তা উচ্চারণের মাধ্যমে প্রতিটি শব্দকে পৃথক পৃথক করে দেখানো হয়েছে। ৩। শব্দের নিচে উচ্চারণ ও আভিধানিক অর্থসহ মর্ম ও ব্যাখ্যা বর্ণনা করা হয়েছে। ৪. আয়াতে ব্যবহৃত সর্বনাম দ্বারা যা উদ্দেশ্য তা নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। ৫. প্রতিটি আয়াতের নিচে সরল ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। ৬. আয়াতের শানে নুযূল ও প্রাসঙ্গিক ঘটনাবলী বর্ণনা করা হয়েছে। ৭. আয়াতের দুর্বোধ্য শব্দ বা বাক্য সহজে বুঝার জন্য বন্ধনী বা টীকার মাধ্যমে মর্ম ও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
যারা কুরআন তিলাওয়াতে দুর্বল বা শিখে ভুলে গিয়েছেন, তারা এই কুরআনের মাধ্যমে বিশুদ্ধভাবে শিখতে ও পড়তে পারবেন ইনশা-আল্লাহ। বয়স্ক শিক্ষা কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্য উপযোগী এই কুরআন। মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শব্দার্থ, আয়াতের মর্ম ও যমীরের মারজে‘ সম্পর্কে জানতে সহায়ক হবে।

নাম রাখা হয়েছে- তাজ্ওয়ীদসহ শব্দার্থে আল্ কুরআনুল কারীম। স্পষ্ট ও বড় অক্ষরে লিখিত ২২৪ পৃষ্ঠার এই অনুবাদকর্মটি পুরোটাই অফসেট কাগজে চার রঙ্গের মুদ্রিত। দৃষ্টিনন্দন চার রঙ্গা প্রচ্ছদ ও বোর্ড বাঁধাই এ অনুবাদ গ্রন্থটির (১ম খণ্ড ৩পারা) দাম রাখা হয়েছে চারশত টাকা। আলোচিত গ্রন্থটি আশা করি পাঠক মহলে সাড়া জাগাবে।

প্রকাশনায়: দারুল ইবতিকার, ১০৫ ফকিরাপুল (জামে মসজিদ সংলগ্ন পশ্চিমে), মালেক মার্কেট (নিচ তলা ও ২য় তলা), ঢাকা। মোবাইল: ০১৮১৭ ৫৩৮৫৬৭

-মাওলানা নূর মোহাম্মদ ফেনবী

Sunday, April 23, 2017

ফী-যিলালিল কুরআন (সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ), তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফহীমুল কুরআন ও অন্যন্য তাফসীর

আল্লাহর হাজার শোকর, এক সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই শতকের ক্ষণজন্ম ইসলামী চিন্তানায়ক সাইয়েদ কুতুব শহীদ-এর বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর ‘ফী যিলালিল কোরআন’ –এর বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হলো। ৫ বছরের চাইতে কিছুটা কম সময়ের ভেতরে আল্লাহ্ তায়ালা যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ (সর্বমোট ২২ খন্ডে সমাপ্ত) এই তাফসীরের অনুবাদ প্রকাশনার কাজ শেষ করার যে তাওফীক আমাদের দান করেছেন তার জন্যে আমরা একান্ত বিনয়ের সাথে আল্লাহ্ তায়ালার কৃতজ্ঞতা জানাই। (প্রথম প্রকাশনা অনুষ্ঠান ৬ জানুয়ারী ৯৫ ও সমাপনী অনুষ্ঠান ১২ই মে ২০০০)


‘ফী যিলালিল কোরআন’ ও তার প্রণেতা সাইয়েদ কুতুব শহীদ-এর পরিচয় আজকের ইসলামী বিশ্বে নতুন করে দেয়ার অবকাশ নেই। আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার মহান সংগ্রামে শহীদ কুতুবের নাম যেমনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছে, তেমনি তাঁর রচিত তাফসীর ‘ফী যিলালিল কোরআন’ও অনন্তকাল ধরে কোরআন অনুধাবনের ক্ষেত্রে একটি ‘মাইলফলক’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
 


পৃথিবীর ২৫ কোটির বেশী লোক যে ভাষায় কথা বলে, যে ভাষার স্থান বিশ্ব ভাষার দরবারে পঞ্চম, সে ভাষায় কোরআনের এই সেরা তাফসীর গ্রন্থটির অনুবাদ বহু আগেই প্রকাশ হওয়া উচিত ছিলো। বিগত দু’-তিন দশকে অনেক উৎসাহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই দুরূহ কাজের একাধিক উদ্যোগও গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু নানা কারণে কোনো উদ্যোগই বাস্তবায়িত হতে পারেনি। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের মতো কতিপয় গুনাহগার বান্দাকে যে তাঁর এ মহান খেদমতের জন্যে নিবাচিত করেছেন সে জন্যে তাঁর দরবারে আবারও গভীর কৃতজ্ঞতা আদায় করি।
 

‘ফী যিলালিল কোরআন’ –এর কঠিন অনুবাদ, জটিল সম্পাদনা এবং ব্যয়বহুল প্রকাশনা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্যে ছিলো একটি সাহসী পদক্ষেপ, বলতে গেলে এর সবটুকুই ছিলো একটি আবেগ তাড়িত সিদ্ধান্ত। কিন্তু কোনো দ্বীনি ‘জোশের’ পেছনে যে কিছু দুনিয়াবী ‘হুশ’ও প্রয়োজন, তা আমরা প্রথম দিকে টেরই করতে পারিনি। টের যখন পেলাম তখন আমাদের পথ চলা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ্ তায়ালার হাজার শোকর, যাত্রার শুরুতে তিনি যদি এর বাণিজ্যিক ঝুঁকির কথাটি আমাকে ভুলিয়ে না রাখতেন তাহলে এই তাফসীরের বাংলা অনুবাদ প্রকাশনার এই উদ্যোগটি কোকোদিনই সফল হতে পারতো না।
 

‘ফী যিলালিল কোরআন’ বাংলাদেশের সকলশ্রেণীর বুদ্ধিজীবিমহল ও ওলামায়ে কেরাম তখা কোরআনের পাঠকদের মাঝে যে পরিমাণ সাড়া জানাতে সক্ষম হয়েছে, তা দেখে আমরা সত্যিই আনন্দে অভিভূত হয়ে গেছি। দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী চিন্তাবিদরা এই তাফসীরটির ব্যাপারে যে মূল্যবান অভিমত প্রকাশ করেছেন, তার প্রতিটি বাক্যই উল্লেখ করার মতো।
 

সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাদের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, এই মহান গ্রন্থের কোথাও যদি কখনো কোনো ভুল-ভ্রান্তি আপনাদের নযরে পড়ে তাহলে কোরআনের স্বার্র্থেই তা মেহেরবানী করে আমাদের জানাবেন। শ্রদ্ধেয় ওলামায়ে কেরামের কাছেও আমাদের বিনীত নিবেদন, এই কেতাব আপনার-আমার আরোর নয়- হেদায়াতের এ মহান উৎসটির একমাত্র মালিক হচ্ছেন আল্লাহ্ তায়ালা, তাই একে যথাসম্ভব নিভূল করার প্রচেষ্টায় আপনি আপনার মূল্যবান পরামশ দিলে আমরা আনন্দের সাথেই তা গ্রহণ করবো এবং সেই আলোকে আগামী সংস্করণগুলোকে আরো সুন্দর, আরো নিখুঁত করার প্রয়াস পাবো।
 

বিদায়ের আগে ঊধাকাশের দিকে গুনাহর হাত বাড়িয়ে বলিঃ ‘রাব্বানা লা তুয়াআখেযনা ইননাসীনা আও আখতা’না’ –‘হে আমাদের মালিক, যদি আমরা কোথাও কিছু ভুলে গিয়ে থাকি কিংবা কোথাও যদি আমরা কোকোন ত্রুটি-বিচ্যুতি করে বসি –তুমি তার কোনোটার জন্যেই আমাদের পাকড়াও করো না। তুমি আমাদের শাস্তি দিয়ো না।’ আমীন! ছুম্মা আমীন!!
 

খাদিজা আখতার রেজায়ী
 
লন্ডন

২২ খন্ডে প্রকাশিত যিলালিল কুরআন ডাউনলোড:

Source: http://www.priyoboi.com


তাফসীরে ইবনে কাসীর ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে: তাফসীরে ইবনে কাসীর

তাফহীমুল কুরআন ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে: তাফহীমুল কুরআন


বাংলা তাফসীরে জালালাইনের বৈশিষ্ট্য ও ডাউনলোড লিংক


মূল জালালাইন শরীফের বিশুদ্ধ ও নির্ভুল বঙ্গানুবাদ।
আয়াতের সূক্ষ ইঙ্গিতের বিবরণ।
ইবারতের দুর্বোধ্য ও কঠিন শব্দ সমূহের তাহকীক।
প্রয়োজনীয় তারকীব ও মহলেস্ন ইরাবের বর্ণনা।
আয়াতের পূর্বাপর সম্পর্কের বিশদ বিবরণ।
আয়াত সংস্লিষ্ট শানেনুযূল।
কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনার বিসত্মারিত বিবরণ।
আয়াতের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন মাসায়েলের বর্ণনা।
বিরোধপূর্ণ মাসআলায় ইমামগণের মতামত উলেস্নখ।
সূরা সমূহের নাম করণের কারণ, অবতীর্ণ হওয়ার সময়কাল ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলোচনা।
সূরার সাথে পূর্ববর্তী সূরার যোগসূত্র।
সূরার বিষয় বস্ত্ত ও সারকথার বিবরণ।
বিভিন্ন গ্রহনযোগ্য তাফসীরসমূহের সারনির্যাস সংযোজন।
প্রতিটি আলোচনা শেষে উদ্ধৃতি প্রদান।
আলস্নামা ইদরীস কনদ্ধলভী (র.) রচিত মারেফুল কুরআন হতে গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ের উদ্ধৃতি প্রদান।

কুরআনের আয়াত ছাড়াও তাফসীরে জালালাইনের ইবারতে হরকত সংযোজন।

বাংলা তাফসীরে জালালাইনের লিংক:

তাফসীর জালালাইন প্রথম খন্ড
তাফসীরে জালালাইন দ্বিতীয় খন্ড
তাফসীরে জালালাইন তৃতিয় খন্ড
তাফসীরে জালালাইন চতুর্থ্ খন্ডন
তাফসীরে জালালাইন পঞ্চম খন্ড
তাফসীরে জালালাইন ষষ্ঠ খন্ড
তাফসীরে জালালাইন সপ্তম খন্ড



মা'রেফুল কুরআন ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে: মা'রেফুল কুরআন






কুরআন ব্যাখ্যার মূলনীতি লেখক: শাহ্ ওয়ালীউল্লাহ মোহাদ্দিসে দেহলভী




Saturday, April 22, 2017

পবিত্র কোরআন নিয়ে নকুল কুমারের গানটি সবাই দেখুন এবং শেয়ার করুন - বিশ্ব থেকে হারাবে না পবিত্র কোরআন


বিঃদ্রঃ এই পোষ্টে একটি ভিডিও আছে। যদি ভিডিও দেখা না যায় তাহলে আপনার কম্পিউটারে Adobe flash player ইনস্টল সেটাপ করুন । গুগুলে যেয়ে Adobe flash player লিখে সার্চ করে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।

Sunday, February 26, 2017

মাল্টিমিডিয়া কুরআন স্টাডি সফটওয়্যার “জিকর”

কুরআনে কোন কথাটি রয়েছে, কোনটি নেই, কোন আয়াত কত নং সূরার, তা একজন কুরআন বিশ্লেষক মুমীনের জানা খুব জরুরী। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব “জিকর” নামের একটি সফটওয়্যারের সাথে যেটি নিমিষেই জানিয়ে দেবে আপনার কাঙ্খিত শব্দটি। সফটওয়্যারটিতে বাংলায় সার্চ করার সুযোগ রয়েছে।
 
টিউটোরিয়াল
প্রথমে এই লিংক থেকে . মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করেইন্সটল করে নিন। (এটি একটি ফ্রিওয়্যার তাই সিরিয়ালের দরকার নেই)
এই লিংক  ক্লিক করে বাংলা অনুবাদের ফাইলটি (muhiuddinkhan.trans.zip)সরাসরি ডাউনলোড করুন। তর্জমাটি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের করাযিনি মারেফুল কোরআন (বাদশাহ ফাহাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি সরকারকর্তৃক হাজীদের সরবরাহকৃত বিখ্যাত তাফসিরএর অনুবাদক।

কেউ অন্য ভাষার তর্জমা চাইলে এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন

আপনার পিসিতে সোলায়মান লিপি বা যেকোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টইন্সটল থাকতে হবে। না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন  তারপরকন্ট্রোল প্যানেল থেকে ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করুন
[সফটওয়্যারটি চালাতে জাভা রানটাইম ইনভায়রমেন্ট দরকারযদি পিসিতেনা থেকে থাকে তবে এখান থেকে জাভা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন]
এবার সফটওয়্যারটি চালু করে নিচের স্ক্রিণশট অনুসরণ করুন। প্রথমেTools>Add>Translation  ক্লিক করুন
বাংলা অনুবাদের muhiuddinkhan.trans.zip ফাইলটি হার্ডডিস্ক থেকে সিলেক্টকরে Open  ক্লিক করুন

কনর্ফামেশন মেসেজ আসবে OK করুন
এবার View > Translation > [bn] মাওলানা মুহিউদ্দীন খান  ক্লিক করুনবাংলা আসবে
পর্দায় যে বাংলা দেখা যাচ্ছে তা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার নয় আমরা এখন সোলায়মানলিপি ফন্ট সিলেক্ট করবো যাতে ঝকঝকে বাংলা পেতে পারি এজন্য-
 ৯. Tools থেকে Options এ ক্লিক করুন। এখান থেকে View এ ক্লিক করুন, নিচের স্ক্রিণশটের মত পাবেন- 

১০. trans_bn_fontName এর ঘরে ‍SolaimanLipi টাইপ করুন, তারপর একটি কমা (,) দিন যেমন স্ক্রিণশটে দেখানো হয়েছে। Apply করে OK করুন। পেয়ে গেলেন ক্রিস্টাল বাংলা! 

সার্চ করার কৌশল  
ধরুন আপনি কোরআন শরীফের “তওবা” শব্দটি কোথায় আছে জানতে চাইছেন। তাহলে বামদিকের ‍Search বা Advanced বক্স থেকে বাংলায় টাইপ করুন তওবা তারপর Search বাটনে ক্লিক করুন। 

দেখুন তওবা সম্পর্কিত সকল তথ্য এসে গেছে আয়াত নং সহ!
কেউ যদি অনলাইনে তেলাওয়াত শুনতে চান তবে-  
Audio > Recitation থেকে ক্বারীর নাম সিলেক্ট করুন। (আপনার ইন্টারনেট সংযোগ কত গতির সে অনুসারে সিলেক্ট করে নেবনে) 
যারা অফলাইনে শুনতে চানতারা পুরোঅডিও (Recitation) প্যাকেজটি ডাউনলোড করে নিন এখান


Wednesday, January 18, 2017

উম্মতের যাদের বিরুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর দরবারে বিচারপ্রার্থী হবেন

-জুলফিকার আহমদ কিসমতী


সাধারণভাবে মুসলমানদের মধ্যে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা)-এর ব্যাপারে এই আকাক্সক্ষা সকলের মধ্যেই বিদ্যমান যে, কাল কেয়ামতের দিন বিপদের সময় তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেন, আমাদের জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবেন এবং ঐ মহা বিপর্যয়ের মুহূর্তে খুব পিপাসায় ক্লান্ত উম্মতদের তিনি হাউজে কাউসারের সুপেয় শরবত পান করাবেন। কিন্তু পবিত্র কুরআনের সূরা ফোরকানের ৩০-৩২ নম্বর আয়াতে নবী মুহাম্মদ (সা) যে তাঁর উম্মতের একটি শ্রেণীর বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে মামলা-মোকদ্দমাও দায়ের করবেন, সে কথাটির চর্চা খুব কমই হয়ে থাকে। অথচ এটি এমন একটা ভয়ের কথা যেদিকে আমাদের দৃষ্টি অধিক থাকা দরকার। কারণ আল্লাহর যেই মহাগ্রন্থ কুরআন, সেটির প্রতি আমাদের অপরিসীম ভক্তি শ্রদ্ধা থাকলেও তার মর্মবাণী অনুধাবনের চেষ্টা আমরা খুব কম লোকই করে থাকি। কাজেই একথা জেনে নেয়া সকলের জন্য অপরিহার্য, তাঁর কোন্ চরিত্রের উম্মতের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করবেন। নবী জীবনের অবিস্মরণীয় ঘটনা মিরাজ রাজনীতে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ ও তাঁর সাথে কথা বলার মতো সৌভাগ্য অর্জনের মুহূর্তেও যিনি তাঁর উম্মতদের কথা ভুলেননি, আজ সেই দয়ালু নবী কেন ও কোন্ ধরনের উম্মতের বিরুদ্ধে রাগান্বিত হয়ে পরম প্রভুর কাছে অভিযোগ জানাবেন ও মামলা দায়ের করবেন, তা জানা সকলের একান্ত প্রয়োজন। মহানবী (সা) ‘কুরআন পরিত্যাগকারীদের বিরুদ্ধে যেই শব্দে আল্লাহর দরবারে মামলা করবেন, সেই দরখাস্তের শব্দাবলিও আল্লাহ আগে ভাগে সতর্ক হবার জন্যে কুরআন মজিদে উল্লেখ করেছেন, যার উদ্ধৃতি হলো এই : 
ইয়া রাববী! ইয়া কওমিত্তাখাযু হাযাল কুরআনা মাহজুরা অর্থাৎ ‘(সেদিন) রাসূলুল্লাহ বলবেন, ‘হে প্রভু! আমার উম্মতের (এ সমস্ত লোক) আল-কুরআনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে দিয়েছিল’ (সূরা ফুরকান : ৩০-৩২)। 
‘কুরআন পরিত্যাগ’ বলতে কি বুঝায় তা কেবল হাদিস এবং নিজের সাধারণ জ্ঞান দিয়ে নয়, খোদ পবিত্র কুরআনের অন্য বক্তব্যের আলোকে কি বুঝায় তাই এখানে উপস্থাপন করছি, যা সকল মুসলমানেরই গভীরভাবে ভেবে দেখা অত্যাবশ্যক।

কুরআন পরিত্যাগের অর্থ হলো : 
(১) কুরআন শরীফ বিশুদ্ধভাবে পাঠ না করা। কারণ সূরা মুয্যাম্মিল-এ আল্লাহ এ মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ‘ওয়া রাত্তিলিল কুরআনা তারতিলা’- ‘আর তোমরা ‘তারতীল’ সহকারে শুদ্ধ ভাষায় কুরআন পাঠ করবে (সুরা মুজাম্মিল: আয়াত ৪)।’ ইলমে তাজভীদের পরিভাষায় ‘তারতীল’ শব্দের অর্থ হলো আরবি যেই অক্ষর জিহবার যেখান থেকে উচ্চারণ করার নিয়ম আরবি ধ্বনিতত্ত্ব অনুযায়ী সেই অক্ষর সেখান থেকেই উচ্চারণ করে পড়া। যেমন ‘যাল’ অক্ষরের স্থলে ‘জিম’ অক্ষর না পড়া, ‘আইন’ অক্ষরের স্থলে ‘হামযা’ অক্ষর উচ্চারিত না হওয়া ইত্যাদি।

(২) কুরআনের আয়াতের অর্থ না জানা। পবিত্র কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে জিবরাঈল (আ)-এর মাধ্যমে মহানবী (সা)-এর ওপর বিশ্বমানবের কল্যাণে পথনির্দেশক এবং ন্যায়-অন্যায়, সত্য-অসত্য, বৈধ-অবৈধের মধ্যে পার্থক্যকারী পরিপূর্ণ বিধানগ্রন্থ। এর অর্থ জানার জন্য এ কারণেই আল্লাহর নির্দেশ হলো : ‘হাত্তা তা’লামূ মাতাকুলুন- নামাজে তুমি যেসব আয়াত পড়ে থাকো, তা যেন বুঝো (সুরা নিসা: ৪৩ নং আয়াত)।’ এ আয়াতটি নাযিলের প্রেক্ষাপট অন্য কিছু হলেও কুরআন যে বুঝে পড়তে হবে সে বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় নেই। কেউ ভাষার বিভিন্নতা কিংবা তার কোনো অবৈধ খাদ্যের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট মাদকতার দরুন সাধারণ জ্ঞানশূন্যতা যে কারণেই হোক, কুরআনের অর্থ অনুধাবনে অপারগ হলে সেই বাধা তার দূর করতে হবে। অর্থাৎ যখন তার অর্থ অনুধাবনের অবস্থা বর্তমান থাকবে তখন কুরআন পাঠের সময় অর্থ বুঝার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। তেমনি অর্থ বুঝতে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা থাকলে হয়তো কেউ বলতে পারেন, আমি অনারবি, কি করে অর্থ বুঝবো? এই বলে অর্থ অনুধাবন থেকে দূরে থাকতে চাইলে, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য না হবারই কথা। কারণ, তখন যদি আল্লাহ তাআলা পাল্টা প্রশ্ন করে বসেন যে, তুমি প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির নির্ধারিত সকল পাঠ্যবই পড়ার সময় পেলে, বহু সময় ব্যয় করে পত্রপত্রিকার খবর পড়ার সময় পেলে, রাত-দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে বসে জাতীয় ও বিশ্বকাপের বিভিন্ন খেলা দেখার সময় পেলে, আমার কুরআন বুঝার জন্যে তুমি কি পরিমাণ সময় ব্যয় করেছিলে? তখন এ প্রশ্নের জবাব দেয়া কারো পক্ষে বোধ হয় সম্ভব হবে না। আসলে, এটাকে অনন্তকালের সুখ-শান্তির জন্যে জরুরি মনে করা হলে, এটা কোন সমস্যাই নয়। দেশের বড় বড় যোগ্য ইসলামী বিশেষজ্ঞ আলিমগণ স্থানীয় ভাষায় কুরআন মজিদ-এর একাধিক নির্ভরযোগ্য তরজমা রেখে গেছেন, যেগুলো বাজারে অতি সহজেই পাওয়া যায়। অন্তত একটি অনুবাদ সম্বলিত কুরআন শরীফ কিনেও তো নিজেও পরিবারের সকলে আল্লাহর এই নির্দেশের ওপর আমল করা যায়। তারপরও কেউ তা না করলে, কুরআন শুদ্ধ করে না পড়লে যেমন নবীর দায়েরকৃত মামলার আসামি হবে, তেমনি এভাবে অর্থ বোঝার জন্য সময় না দিলেও অভিন্ন কারণে অভিযুক্ত হবারই কথা।

৩. অর্থ বোঝার পর অতঃপর সে অনুযায়ী আমলে সালেহ বা আয়াতের আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী আমল করার প্রশ্ন আসে। কারণ আল্লাহ বারবার পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘‘ইন্নাল্লাযিনা আমানু ওয়া আমেলুস সালেহাত’’- যারা সুষ্ঠু আমল করে, তাদের জন্যই জান্নাত। কেউ আমল করলো কিন্তু সেটা সালেহ বা সুষ্ঠু মানের হলো না, তাহলে আয়াতের অর্থ জানলেও আমল না করার এবং আমল করলেও তা সুষ্ঠু ও লক্ষ্য অর্জনের উপযোগী না হলে সেটাও আমল না করার পর্যায় বলে বিবেচিত হবে। যেমন: একজন রাজমিস্ত্রি একটি পাকা খুঁটি ইট, সিমেন্ট, বালু ইত্যাদি ব্যয় করে নির্মাণ করলো কিন্তু নির্মাণ উপায়-উপকরণাদি যথার্থ মানের না হওয়াতে সেটি এক মাস পর ধাক্কা দেয়ার সাথে সাথে ভেঙে পড়লো। এক্ষেত্রে বুঝা গেল, আমল বা কাজ হয়েছে সত্য কিন্তু তা ‘সালেহ’ সুষ্ঠু বা লক্ষ্য অর্জনের উপযোগী হয়নি। এটা যেমন সেই নামাজির মতো যিনি নামাজের বাহ্যিক সব আমল পালন করেছেন ঠিকই, কিন্তু ‘হুযুরি কলব’ অর্থাৎ আল্লাহকে ভয় করে, তাকে হাজির নাজির না জেনে নামাজ না পড়ায়, তার নামাজের ‘আমল’ হলেও মূল লক্ষ্য অর্জনের উপযোগী হয়নি। সুতরাং এক্ষেত্রে এটাও কুরআন পরিত্যাগের একটি কাজ করা হলো।

৪. তদরূপ পবিত্র কুরআনে আছে, ‘বাল্লিগ মা উনযিলা ইলাইক’- ‘তোমার নিকট যা নাযিল করা হয়েছে’, অর্থাৎ কুরআনের আয়াতে তার মাধ্যমে যেসব নিয়ম-নীতি ও শিক্ষা আদর্শ দেয়া হয়েছে, সেগুলোর তাবলিগ করো, নিজের সন্তান, পরিবার, প্রতিবেশী ও অন্যদেরকেও সব হুকুম-আহকাম পালনে অবাধ্যতাজনিত শাস্তির ব্যাপারে তাদের সতর্ক করো। কেউ যদি ইসলাম প্রচারের এই নির্দেশের ওপর আমল না করলো, ‘আমর বিল মারূফ’- ‘সৎ কাজের হুকুম’ বা দ্বীনের দাওয়াত অপরের কাছে না পৌঁছালো, তাহলে এক্ষেত্রে সে কুরআনের উক্ত হুকুম অমান্য করে কুরআনকে পরিত্যাগ করলো। সুতরাং কুরআন পরিত্যক্ত অবস্থায় রাখার অপরাধে সে অভিযুক্ত হলো।

৫. এভাবে পবিত্র কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ নির্দেশ করেছেন, তিনি আল্লাহর রাসূলকে পাঠিয়েছেন দ্বীন তথা ইসলামী জীবনব্যবস্থা ও বিধি-বিধানসমূহকে ব্যষ্টি ও সমষ্টি জীবনে মানবরচিত অন্যান্য বিধি ব্যবস্থার ওপর বিজয়ী তথা এগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। যেমন সূরা সাফে ইরশাদ হচ্ছে : ‘‘হুয়াল্লাযি আনযালা রাসূলাহু বিল্হুদা, ওয়া দ্বীনিল হাক্কি, লেইউযহিরাহু আলাদ্দীনে কুল্লিহী ওলাও কারিহাল মুশরিকুন।’’ অর্থাৎ আল্লাহ সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রাসূলকে বিভিন্ন পথনির্দেশক বিধি-বিধান ও আইন-কানুন দিয়ে এ জন্য পাঠিয়েছেন, যেন তিনি আল্লাহর জীবন বিধানকে (মানবরচিত) বিধি-বিধান ও মতাদর্শের ওপর বিজয়ী করেন, যদিও তাকে মুশরিক (আল্লাহর অবাধ্যরা) অস্বস্তিবোধ করবে, জ্বলে পুড়ে মরবে (সুরা আশ-শফ: ৯ নং আয়াত)।
সুতরাং কেউ উপরোক্ত চারটি কাজ সম্পাদন করলেও যদি ব্যষ্টি ও সমষ্টি জীবনে আল্লাহর দীনের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার পঞ্চম কাজটি না করলো, ‘ইযহারে দীন’ ও ‘ইকামতে দীনে’র প্রচেষ্টা ও আন্দোলনে সক্রিয় সহযোগিতার দায়িত্ব পালন না করে নির্লিপ্ত ভূমিকা অবলম্বন করলো, তিনিও এ পর্যায়ের কুরআনি নির্দেশ অমান্য করে কুরআনকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রেখে দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।

উল্লিখিত পাঁচটি কারণই কুরআনের আয়াতনির্ভর। কাজেই এগুলো অস্বীকারের কোন উপায় নেই। বলাবাহুল্য, মহানবী (সা) ও তাঁর সঙ্গীদের একটি আদর্শ জাতি ও সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তাঁদের জীবনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে কুরআনের এই শিক্ষারই প্রোজ্ব¡ল দৃষ্টান্ত ভেসে ওঠে। অতএব, প্রতিটি ঈমানদার মুসলমানকে কেয়ামতের দিন মহানবী (সা) কর্তৃক আল্লাহর দরবারে আনীত মোকাদ্দমায় অভিযুক্ত আসামিদের তালিকা থেকে রক্ষা পেতে হলে তাদের প্রতি পবিত্র কুরআনের দাবি অবশ্যই পূরণ করতে হবে আর এ জন্য অধিক পরিমাণে কুরআন চর্চার প্রতি সকলকে মনোযোগী হতে হবে : ১. তাজভিদুল কুরআন ২. ফাহ্মুল কুরআন ৩. আমল বিল কুরআন ৪. তাবলিগুল কুরআন ও ৫. ইযহারুল কুরআনের এই ৫টি দাবি যথাযথভাবে সকলের পূরণ করা একান্ত জরুরি। অন্যথায় পবিত্র কুরআনে উল্লিখিত এই আয়াতের ভিত্তিতে তার ব্যতিক্রমকারীদের বিপদের আশঙ্কা আছে বৈ কি!